ডেস্ক রিপোর্ট, নতুন বাংলা :;
টেকনাফে মাদক পাচারের চেষ্টা ভেস্তে দিল বিজিবি নাফ নদী সীমান্তে বিজিবির সফল মাদকবিরোধী অভিযানে এক মাদক কারবারিসহ বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করেছে
দেশের সীমান্ত সুরক্ষা ও মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি বাস্তবায়নে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) কর্তৃক একটি সফল অভিযান সম্পন্ন করেছে। আজ ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ টেকনাফ উপজেলার জাদিমুড়া এলাকা সংলগ্ন বহমান নাফ নদীতে বিজিবির দুঃসাহসিক অভিযানে ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করেছে। এই সফল অভিযান সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি দেশের তরুণ প্রজন্মকে মাদকের ভয়াল গ্রাস থেকে রক্ষা করা বিজিবি’র দৃঢ় প্রতিজ্ঞার ফসল।
গত ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ প্রথম প্রহরে প্রাপ্ত নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, মায়ানমারের মংডু এলাকা হতে ইয়াবার একটি বড় চালান দমদমিয়া বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-১০ হতে আনুমানিক ৩০০ গজ উত্তর-পূর্ব দিকে জাদিমুড়া নামক এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের পরিকল্পনা রয়েছে। উক্ত তথ্যের প্রেক্ষিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধিনায়কের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় ঐ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনার জন্য সমন্বিতভাবে কৌশলগত স্থানে বিজিবির চৌকস সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। আজ ভোর আনুমানিক ০৩০০ ঘটিকায় মায়ানমার দিক হতে কিছু সন্দেহভাজন ব্যক্তি নাফ নদী সাঁতরে বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর হওয়ার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করা গেলে পরিকল্পনা অনুযায়ী তৎক্ষণাৎ বিজিবির নৌটহল গুলো অভিযান পরিচালনায় উদ্যত হয়। পরবর্তীতে, তাদের গতিবিধির বিষয়ে অধিকতর নিশ্চিত হয়ে, সন্দেহভাজন পাচারকারীরা সীমান্ত দিয়ে জাদিমুড়া এলাকার বিপরীতে
নাফ নদীর জলসীমা অতিক্রম করার সময় মোতায়েনরত বিজিবি নৌ-টহল দলগুলো নদীতে তাদের ঘিরে ফেলে। এ সময়, মাদককারবারীরা বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে গ্রেফতার এড়াতে, দ্রুত সাঁতার দিয়ে কৌশলে মায়ানমারের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবি সদস্যরা ০১ জন মাদককারবারীকে ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক করতে সমর্থ হয়। এসময়, রাতের অন্ধকারের সুযোগে পাচারকারীর অপর সহযোগীরা নদী দিয়ে সাঁতরে সীমান্ত পার হয়ে কৌশলে মায়ানমারের অভ্যন্তরে দ্রুত পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
ধৃত আসামীর বিস্তারিত নিম্নরুপঃ
ক। মোঃ সালাম(৩৫), পিতা- ওলা মিয়া, ২৭ নং এফডিএমএন ক্যাম্প, ব্লক-সি/১, এফসিএন নং-২৭১৬০।
*পলাতক আসামীদের বিস্তারিত নিম্নরুপঃ*
ক। সালাম(৪০), গ্রাম-নেচারপার্ক, ওয়ার্ড- ৯নং, ইউনিয়ন-হ্নীলা, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার।
খ। আয়াজ(৩০), ২৭নং এফডিএমএন ক্যাম্প, নেচারপার্ক, ব্লক-সি/৮।
এ বিষয়ে, অধিনায়ক টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) লেঃ কর্নেল আশিকুর রহমান, পিএসসি বলেন, “সীমান্তাঞ্চলে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণ এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বিজিবি সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছে যা, স্থানীয় জনমনে গভীর আস্থা ও ইতিবাচক মনোভাবের সঞ্চার ঘটিয়েছে। সীমান্ত এলাকায় মানব ও মাদক পাচারসহ সকল প্রকার আন্তঃসীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধে বিজিবি’র এই বলিষ্ঠ ও কার্যকর ভূমিকা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
৪। আটককৃত আসামী ও মাদকদ্রব্য যথাযথ আইনানুগ প্রক্রিয়ায় টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
লেঃ কর্নেল আশিকুর রহমান, পিএসসি
অধিনায়ক,
টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি)
মন্তব্য করুন