কুড়িগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত ফেলানী খাতুনের নামে রাজধানীর গুলশানে একটি সড়েকের নামকরণ হয়েছে।
গুলশান-২ থেকে প্রগতি সরণি পর্যন্ত সড়কটি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত ফেলানী খাতুনের নামে দেওয়া হয়েছে। নতুন নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফেলানী এভিনিউ’।
মঙ্গলবার এই নামফলক উন্মোচনকালে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, ‘দেশের ১৮ কোটি মানুষ সীমান্ত হত্যা বন্ধ চায়। ফেলানীর প্রতি কী ধরনের নৃশংসতা হয়েছে সেটি প্রতিদিন স্মরণ করিয়ে দিতেই এ রাস্তার নামকরণ। এ সড়কের মাধ্যমে বিশ্ব বিবেকের কাছে তুলে ধরছি, সীমান্ত হত্যার মতো জঘন্য পরিস্থিতি বাংলাদেশের সীমান্তে বিরাজ করছে। বর্তমান সরকার সব সীমান্ত হত্যা বন্ধ চায় বলে এ রাস্তা উদ্বোধন।
তিনি বলেন, ফেলানীর নামে এ রাস্তা। মাথা উঁচু করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি নতুন করে তৈরি হলো। বাংলাদেশ যে মাথা উঁচু করে সম্মান বজায় রাখতে পারে তার প্রতীক এ রাস্তা।’
বাবার সঙ্গে কিশোরী ফেলানী ভারতের নয়াদিল্লিতে গৃহকর্মীর কাজ করত। বিয়ের উদ্দেশে সে দেশে ফিরছিল। ২০১১ সালে ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের অনন্তপুর-দিনহাটা সীমান্তের খিতাবেরকুঠি এলাকায় বিএসএফের সদস্যরা ফেলানীকে গুলি করে হত্যা করে। ফেলানীর মরদেহ পাঁচ ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে ছিল।
মন্তব্য করুন