শামসুল আলম শারেক, টেকনাফ ( কক্সবাজার)।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী হ্নীলা ও হোয়াইক্যংয়ের যৌথ উদ্যোগে স্বাধীনতার ৫৪ তম মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে র্যালীত্তোর পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ ডিসেম্বর ( মঙ্গলবার) দুপুর ২ টা থেকে র্যালীটি হ্নীলা ও হোয়াইক্যংয়ের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শুরু হয়ে হ্নীলা বাসস্টেশনের ছৈয়দুল্লাহ মার্কেট চত্বরে এসে পথ সভায় মিলিত হয়।
কানায় কানায় পরিপূর্ণ পথসভা একপর্যায়ে জন সমাবেশে পরিণতহয়। হ্নীলা ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাও: গিয়াসউদ্দিন নিজামীর সঞ্চালনায় ও টেকনাফ উপজেলা জামায়াতে ইসলামির আমীর মাও: রফিকুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমীর ও উখিয়া – টেকনাফ সংসদীয় আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মাও: নুর আহমদ আনোয়ারী। 
প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলাবারের সাবেক সভাপতি ও জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য আইন বিষয়ক সম্পাদক,একে এম শাহজালাল চৌধুরী, বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন কক্সবাজার জেলা জামায়াতের সমাজকল্যাণ সম্পাদক অধ্যক্ষ নুরুল হোছাইন ছিদ্দিকী সহ জেলা ও উপজেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা জামায়াত আমীর ও উখিয়া টেকনাফ সংসদীয় আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মাও: নুর আহমদ আনোয়ারী বলেছেন,
বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫৪ বছরে বার বার বিজয় দিবস আসে আর যায় কিন্ত বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ এখনো বিজয়ের প্রকৃত স্বাদ পায়নি, সরকার আসে সরকার যায় বৈষম্য, দুর্নীতি, খুন রাহাজানি,চাঁদাবাজ মুক্ত স্বাধীন দেশের প্রকৃত সন্ধান মানুষ এখনো পায়নি,এছাড়া তিনি আরো বলেছেন যেই সরকার ক্ষমতায় যায়না কেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বিজয়ের প্রকৃত স্বাদ আধিপত্যবাদীদের যাতাকলে বন্দি ছিল। এখনো সেই আধিপত্যবাদীদের কথায় এদেশ পরিচালনার স্বপ্ন দেখছে একটিদল।
২৪ এর গণ অভ্যুথান হয়েছিল ফ্যাসিবাদ,বৈষম্য ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে, কেউ এইদেশে নতুন করে ফ্যাসিবাদ কায়েমের স্বপ্ন দেখে থাকে তাহলে সেটা ভুল হবে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একটা কর্মী ও বেঁচে থাকতে এটা সফল হতে দেবনা ইনশাল্লাহ। আপনাদের দোয়া ও ভোটে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর হয়ে আমি নির্বাচিত হলে মানুষের মৌলিখ অধিকার ফিরিয়ে দেব, সীমান্ত বাণিজ্য ওপেন করে দেয়া হবে, হ্নীলা ও হোয়াইক্যংয়ের করিডোর খুলে দেয়া হবে,শাহপরীর দ্বীপের করিডোর খুলে দেয়া হবে,নাফনদীতে মাছ শিকার উম্নোক্ত করে দেয়া হবে,টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন পর্যটন যাতায়ত খুলে দেয়া হবে, বিদেশ থেকে লবণ আমদানী বন্ধ করে দিয়ে দেশীয় লবণশিল্পকে মূল্যায়ন করা হবে,চাকরীর জন্য এলাকার মানুষদের আন্দোলন করতে হবেনা, মানুষ কে মিথ্যামামলায় হয়রানীর শিকার হতে হবে না, সর্বোপরি সাধারণ মানুষ সুখে শান্তিতে ঘুমাতে পারবে ইনশাআল্লাহ।
মন্তব্য করুন